অক্টোবর, ১৭, ২০২৫
দেশলাই
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্পসরগম
    • উপন্যাস
    • অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক
  • গদ্যধারা
  • উড়ন্তডুবুরী
    • সাক্ষাৎকার
    • রিভিউ
  • এক্সিবিশন
  • শিল্প
    • নাটক
    • চলচ্চিত্র
  • ধারাবাহিক
  • বিশেষ সংখ্যা
  • ডিরেক্টরি
    • মেলা
    • নাটক দল
    • বাউল দল
    • সাংস্কৃতিক সংগঠন
    • পাঠাগার
    • থিয়েটার
    • স্মরণ
    • প্রত্নতত্ত্ব
    • সাহিত্য পুরস্কার
    • প্রকাশনা সংস্থা
  • কেনাকাটা
    • বই : গদ্য
    • বই : গল্প
    • বই : কবিতা
    • বই : উপন্যাস
    • বই : দেড়ফর্মা
    • বই : নাটক ও চলচ্চিত্র
    • বই : ছড়া
    • লিটলম্যাগ
দেশলাই
দেশলাই
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্পসরগম
    • উপন্যাস
    • অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক
  • গদ্যধারা
  • উড়ন্তডুবুরী
    • সাক্ষাৎকার
    • রিভিউ
  • এক্সিবিশন
  • শিল্প
    • নাটক
    • চলচ্চিত্র
  • ধারাবাহিক
  • বিশেষ সংখ্যা
  • ডিরেক্টরি
    • মেলা
    • নাটক দল
    • বাউল দল
    • সাংস্কৃতিক সংগঠন
    • পাঠাগার
    • থিয়েটার
    • স্মরণ
    • প্রত্নতত্ত্ব
    • সাহিত্য পুরস্কার
    • প্রকাশনা সংস্থা
  • কেনাকাটা
    • বই : গদ্য
    • বই : গল্প
    • বই : কবিতা
    • বই : উপন্যাস
    • বই : দেড়ফর্মা
    • বই : নাটক ও চলচ্চিত্র
    • বই : ছড়া
    • লিটলম্যাগ
টাইপ করা শুরু করুন এবং বন্ধ করতে "এন্টার" বা "ESC" টিপুন
  1. আপনি দেখছেন: হোম >> স্মৃতির বন্দুক ...

স্মৃতির বন্দুক

দীপেন্দু

আগস্ট, ২২, ২০২৫

১) এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে



মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–

এবার রাস্তা 

ফাঁকা।

চলো চলো একে একে

ধীরে ধীরে

চুপচাপ।

এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।

ফিরে গেছে পাখি

নিজের বাসা 

ছেড়ে।

আজ অনেক কথা;

ফুরোয় 

শুধু শব্দ।

বলার জন্য বাস্তবতা

তাই আওয়াজগুলো স্তব্ধ।

অন্য কেউ বুঝে না

তোমার মত করে, 

তোমার মত করে

অন্য কেউ

করে না অবহেলা।

শুধু

সুখের জন্য দিন

আর বিষাদ আসে রাত্রিবেলা।

এক ইতস্তত রাস্তা।

ঠোঁটের কাছে যেন 

ছড়ানো গোলাপ কাটা।

মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–

এবার রাস্তা 

ফাঁকা।

চলো চলো একে একে

ধীরে ধীরে

চুপচাপ।

এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।

একদিন আমরা সেই রাস্তা শেষের লোভে

বারুদ কিনে আগুন হব

স্মৃতির বন্দুকে।

আমি ভোর দেখার

জন্য পেচ্ছাপ আটকে বসে আছি 

এ ক্লাইম্যাক্স যেন শেষবার দেখার সুযোগ।

তারপর

এ দিন তার পরের রাত চাইবে।

সম্পর্কগুলো রাত-দিন।

কখোনো কেউ অন্ধকার;

তখন কখনো কেউ আলোর মত

ফুলের রঙে ফুটবে। 

আজ অনেক কথা;

ফুরোয় 

শুধু শব্দ।

বলার জন্য বাস্তবতা

তাই আওয়াজগুলো স্তব্ধ।

মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–

এবার রাস্তা 

ফাঁকা।

চলো চলো একে একে

ধীরে ধীরে

চুপচাপ।

এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।

 

 

২)

 

কিছু ভাববো না এই ভেবেই…

মস্তিষ্কে ঘূর্ণিঝড় লেগে পড়ে।


ভাষা বদলে ফেলেছি চারদিন।

একটু এগোলেই ধাক্কা খাচ্ছে শরীর অদৃশ্য চতুর্ভুজে,

সীমানা জানা নেই,

কঠিন থেকে খালি তরল হওয়ার নেশায়

এ শহর মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে মধ্যরাতে।

সে কে?

জানা নেই।

বাস্তবের কাটা ঘায়ে নুন ছেটায় দুঃখরা, 

তুমি খালি চোখের জলের উৎস খুঁজতে পথভ্রষ্ট হয়ে গেলে।

যারা মানুষ দেখলে বিশ্বাসের দান চালে না

বরং তা লুকিয়ে রেখে আড়াই ঘরে হিংসা ছুড়ে দেয় 

আমি তাদের সাথে কোনোদিনও জিতে উঠতে পারলাম না মা।

গোটা রাত কেটে যায়,

শুধু কিছু ভাববো না এই ভেবেই…

মস্তিষ্কে ঘূর্ণিঝড় লেগে পড়ে।

সাতটা গুলি চিল্লিয়ে বললো মুখস্ত নাম,

আমি তাতে পরিচিত একজনের নাম শুনলাম,

আর ব্যক্তিগতভাবে আমার তার মৃতদেহের সাথে আলাপ বাড়লো।

এ শহরে সবাই স্বার্থপর কেউ প্রকাশ্যে কেউ চুপি চুপি,

তুমি কোনটা?

সময় থাকলে আবার কখনো

ফোন দেয়ার চেষ্টা করো,

প্ৰথমবার না তুললে দ্বিতীয়বার তুলবো,

তবে তৃতীয়বার না তুললে,

ভেবে নিও এই পর্যন্তই।




৩)

খুলে ফেলে গলির অন্ধকার, সড়ক ধরো



কখনো তুমি বিষন্নময়ী মাগী কখনো দেখাও অন্ধকার, মাথার ভিতর বারোটা স্টেশন; একটা ধ্বংস একটা বাড়ি বাকিটা স্মৃতিদের চোরাপাক। আমি এখন কোথায় খুঁজি বাসা? এ শহরে চড়ুই ডাকি। মাস্টারবেশনে আলোদের মালসা ভোগের নেমন্তন্ন। স্বার্থ রক্ষায় শরীর খারাপ; হত্যার কথা নিজেকে বলি; মস্তিষ্কের আগে। এবার যাত্রা শুরু হবে, রহস্যগুলো হাল ছেড়ে দিলে, রাস্তা বন্ধ। পাশের গলিতে খুন চলবে। মাইকে মাইকেল জ্যাকসন, মধুসূদন শুধু সত্যি বলবে। তোমাকে বসার ঘরে কোনদিন ডাকবো না। দেনা আমার নেই বললেই চলে তাও জীবনটাকে বিক্রি করছি। মানুষিক পরিশ্রম হবে, এবার শাস্তিরা সস্তা হবে। আমি এক সাংবাদিক দেখেছি শুধু মৃত্যুর খবর প্রচার করে তার উপরে অনেক আকাশ। পায়ের জুতো মাথায় তুলে এ নদী অনেক গভীর নয়। আসতে আসতে সবাই তলিয়ে যাওয়ার আগে খিদের কাছে হাত তুলে দাঁড়াবে। আমি খুঁজে আনছি টিকটিকির সাদা লেজ, হাত কেটে লেখা চিঠির যন্ত্রণা। এ জীবন উড়বে দৌড়াবে, পুড়বে। ধ্বংস হতে সময় নেবে। সে অনেক বদলে গেছে। নষ্ট করে দিলো সবকিছুই। কিছুটা ভিতরে, কিছুটা বাইরে। এ শব্দ শুনে সবাই ফেরে, মানুষগুলো ভীষণ কাঁদে। তুমি তবে পাষান হলে? এ পাহাড় কোথাও ছিল, এ মানুষ হারিয়ে যা। এ পৃথিবী অনেক বড়, আমি কি তাকে ধরতে পারি হাতের মুঠোয়। বিশ্বাস দাও। বলার জন্য আমাকে অধিকার দিলেও আমি কথা বলা বন্ধ করেছি। এ ব্যাপারে একটা দ্বন্ধ থাকা দরকার। তোমার শরীরে আমার খবরের ফেস্টুন ঝোলে। খুলে ফেলে গলির অন্ধকার, সড়ক ধরো। গাড়ি থামবে। দাম ঠিক করো নিজের। তাদের কাছে অনেক বেশি জীবন আছে। আমার কাছে খালি অস্বাস্থ্যকর অসহায় সব দুঃখ।


 


৪)

চতুর্থ বিশ্ব



ব্রহ্মাণ্ডের চিতায় পুড়ছে শরীর,

পৃথিবীর শরীর।

পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।

আমরা মিথ্যা কথার ভিড়ে, হারিয়ে যাচ্ছি।

ব্রহ্মাণ্ডের কঠিন শক্তি দেখতে না চেয়ে চোখে হাত দিয়ে ফেলি।

বলি পৃথিবী কত অন্ধকার!

পৃথিবী একটা আদিম বট গাছ।

যে গাছের শিরা-উপশিরা শুধু দান করে যাচ্ছে।

না চাইতেই পেয়েছি জল, বায়ু, রোদ্দুর।

জানানো যাচ্ছে―

আমাদের পৃথিবীর জন্য ভাড়া করা হচ্ছে খয়েরি ঘাসের মাঠ, খোলা প্রান্তর।

কালো আকাশ। 

নদীর জন্য জল আর গাছেদের জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড।

রোদ্দুর খুব তেজী;

তাকে রিমান্ডে রাখা হয়েছে, পৃথিবীর জ্বালামুখী পাহাড়ের ভিতরে।

কখনো সখনো ছাড়া হবে।

আগ্নেয়গিরি হয়ে বেরিয়ে আসবে,

ছিটিয়ে পড়বে লাভা/তরল ম্যাগমা।

শান্ত নদীর কোনো উৎস থাকবে না― অন্তহীন।

ব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেকটা কক্ষপথে হয়তো হাজার পৃথিবী আছে।

তাতে মানুষের ভিড়!

কোলাহল!

চিৎকার! উল্লাস!

তবে এই পৃথিবী ধ্বংসের বিপরীতমুখী।



৫)

কলোসিয়ামের ঘুনে ধরা থাম


বাসি সুষুম্না পচে যায় এক রোদেলা দিনে।

গলা শুকিয়ে যাবে,

বিরহী ঘুম ভাঙলে শরীরগুলো নতুন করে জন্ম নেয়।

ডানা কাঁটা ফড়িংটা উপহারে পাবে নোংরা বিছানা।

গাছদের তেঁতো জিভে ঠান্ডা বিষের স্বাদ লাগে,

এক জটিল বারোয়ারী হালকা বাতাস, কিনছে চুরি করা দেহ।

আমাদের যৌনতা গিলছে শহরের হাইটেনশনগুলো।

পরিচয় দিতে দিতে স্বর্গীয় ফাঁকা মস্তিষ্কে ট্রেন থামে,

ব্যর্থ স্মৃতির মরা চামড়া উঠে আসে জ্যান্ত দেবতা হয়ে

পৌষালী চিরহরিৎ পাখিদের কান্না নেমে আসে নদীতে।

পৃথিবীর পেট থেকে নষ্ট ভ্রূণ মুক্তি পাবে না কখনো;

অকেজো প্রকৃতির পাঁজরে চারা হয়ে থেকে যাবে।

এ শহরে ঝাপসা লোডশেডিংগুলো অসুখ হয়ে ঘিরে ধরছে;

ঘুন ধরা শতাব্দীগুলো জেগে ওঠে ক্ষুধার্ত আত্মার স্পর্শে।

খেতে দেয় হাজারটা প্রিয়জনের চিতার ছাই।

একটা মৃত সকাল বাঁচতে চায় নীল শিরায়।

সবকিছু শেষ হয়ে আসছে।

পৃথিবী হাত রাখো বুকে–

ঝাপসা সভ্যতায় পিথাগোরাসের পাঁচনতন্ত্রে খিদে ফিরে আসবে,

ধ্বংস আঙুলের ডগায় শব্দেরা থেকে যাবে।

বাদামি ডানা মেলে একটা বাজপাখি নেমে আসে হৃদপিন্ডে।

আজও শরীরগুলো মৃত প্রজাপতির জীবাশ্ম খুঁটে খায়।

মন্তব্য, এখানে...

দীপেন্দু

জন্ম- বিজয়নগর, বারাসাত, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতায়। পেশায় প্রকৌশলী।

আরোও লেখা পড়ুন


স্মৃতির বন্দুক

দীপেন্দু
আগস্ট, ২২, ২০২৫

১) এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে



মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–

এবার রাস্তা 

ফাঁকা।

চলো চলো একে একে

ধীরে ধীরে

চুপচাপ।

এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।

ফিরে গেছে পাখি

নিজের বাসা 

ছেড়ে।

আজ অনেক কথা;

ফুরোয় 

শুধু শব্দ।

বলার জন্য বাস্তবতা

তাই আওয়াজগুলো স্তব্ধ।

অন্য কেউ বুঝে না

তোমার মত করে, 

তোমার মত করে

অন্য কেউ

করে না অবহেলা।

শুধু

সুখের জন্য দিন

আর বিষাদ আসে রাত্রিবেলা।

এক ইতস্তত রাস্তা।

ঠোঁটের কাছে যেন 

ছড়ানো গোলাপ কাটা।

মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–

এবার রাস্তা 

ফাঁকা।

চলো চলো একে একে

ধীরে ধীরে

চুপচাপ।

এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।

একদিন আমরা সেই রাস্তা শেষের লোভে

বারুদ কিনে আগুন হব

স্মৃতির বন্দুকে।

আমি ভোর দেখার

জন্য পেচ্ছাপ আটকে বসে আছি 

এ ক্লাইম্যাক্স যেন শেষবার দেখার সুযোগ।

তারপর

এ দিন তার পরের রাত চাইবে।

সম্পর্কগুলো রাত-দিন।

কখোনো কেউ অন্ধকার;

তখন কখনো কেউ আলোর মত

ফুলের রঙে ফুটবে। 

আজ অনেক কথা;

ফুরোয় 

শুধু শব্দ।

বলার জন্য বাস্তবতা

তাই আওয়াজগুলো স্তব্ধ।

মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–

এবার রাস্তা 

ফাঁকা।

চলো চলো একে একে

ধীরে ধীরে

চুপচাপ।

এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।

 

 

২)

 

কিছু ভাববো না এই ভেবেই…

মস্তিষ্কে ঘূর্ণিঝড় লেগে পড়ে।


ভাষা বদলে ফেলেছি চারদিন।

একটু এগোলেই ধাক্কা খাচ্ছে শরীর অদৃশ্য চতুর্ভুজে,

সীমানা জানা নেই,

কঠিন থেকে খালি তরল হওয়ার নেশায়

এ শহর মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে মধ্যরাতে।

সে কে?

জানা নেই।

বাস্তবের কাটা ঘায়ে নুন ছেটায় দুঃখরা, 

তুমি খালি চোখের জলের উৎস খুঁজতে পথভ্রষ্ট হয়ে গেলে।

যারা মানুষ দেখলে বিশ্বাসের দান চালে না

বরং তা লুকিয়ে রেখে আড়াই ঘরে হিংসা ছুড়ে দেয় 

আমি তাদের সাথে কোনোদিনও জিতে উঠতে পারলাম না মা।

গোটা রাত কেটে যায়,

শুধু কিছু ভাববো না এই ভেবেই…

মস্তিষ্কে ঘূর্ণিঝড় লেগে পড়ে।

সাতটা গুলি চিল্লিয়ে বললো মুখস্ত নাম,

আমি তাতে পরিচিত একজনের নাম শুনলাম,

আর ব্যক্তিগতভাবে আমার তার মৃতদেহের সাথে আলাপ বাড়লো।

এ শহরে সবাই স্বার্থপর কেউ প্রকাশ্যে কেউ চুপি চুপি,

তুমি কোনটা?

সময় থাকলে আবার কখনো

ফোন দেয়ার চেষ্টা করো,

প্ৰথমবার না তুললে দ্বিতীয়বার তুলবো,

তবে তৃতীয়বার না তুললে,

ভেবে নিও এই পর্যন্তই।




৩)

খুলে ফেলে গলির অন্ধকার, সড়ক ধরো



কখনো তুমি বিষন্নময়ী মাগী কখনো দেখাও অন্ধকার, মাথার ভিতর বারোটা স্টেশন; একটা ধ্বংস একটা বাড়ি বাকিটা স্মৃতিদের চোরাপাক। আমি এখন কোথায় খুঁজি বাসা? এ শহরে চড়ুই ডাকি। মাস্টারবেশনে আলোদের মালসা ভোগের নেমন্তন্ন। স্বার্থ রক্ষায় শরীর খারাপ; হত্যার কথা নিজেকে বলি; মস্তিষ্কের আগে। এবার যাত্রা শুরু হবে, রহস্যগুলো হাল ছেড়ে দিলে, রাস্তা বন্ধ। পাশের গলিতে খুন চলবে। মাইকে মাইকেল জ্যাকসন, মধুসূদন শুধু সত্যি বলবে। তোমাকে বসার ঘরে কোনদিন ডাকবো না। দেনা আমার নেই বললেই চলে তাও জীবনটাকে বিক্রি করছি। মানুষিক পরিশ্রম হবে, এবার শাস্তিরা সস্তা হবে। আমি এক সাংবাদিক দেখেছি শুধু মৃত্যুর খবর প্রচার করে তার উপরে অনেক আকাশ। পায়ের জুতো মাথায় তুলে এ নদী অনেক গভীর নয়। আসতে আসতে সবাই তলিয়ে যাওয়ার আগে খিদের কাছে হাত তুলে দাঁড়াবে। আমি খুঁজে আনছি টিকটিকির সাদা লেজ, হাত কেটে লেখা চিঠির যন্ত্রণা। এ জীবন উড়বে দৌড়াবে, পুড়বে। ধ্বংস হতে সময় নেবে। সে অনেক বদলে গেছে। নষ্ট করে দিলো সবকিছুই। কিছুটা ভিতরে, কিছুটা বাইরে। এ শব্দ শুনে সবাই ফেরে, মানুষগুলো ভীষণ কাঁদে। তুমি তবে পাষান হলে? এ পাহাড় কোথাও ছিল, এ মানুষ হারিয়ে যা। এ পৃথিবী অনেক বড়, আমি কি তাকে ধরতে পারি হাতের মুঠোয়। বিশ্বাস দাও। বলার জন্য আমাকে অধিকার দিলেও আমি কথা বলা বন্ধ করেছি। এ ব্যাপারে একটা দ্বন্ধ থাকা দরকার। তোমার শরীরে আমার খবরের ফেস্টুন ঝোলে। খুলে ফেলে গলির অন্ধকার, সড়ক ধরো। গাড়ি থামবে। দাম ঠিক করো নিজের। তাদের কাছে অনেক বেশি জীবন আছে। আমার কাছে খালি অস্বাস্থ্যকর অসহায় সব দুঃখ।


 


৪)

চতুর্থ বিশ্ব



ব্রহ্মাণ্ডের চিতায় পুড়ছে শরীর,

পৃথিবীর শরীর।

পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।

আমরা মিথ্যা কথার ভিড়ে, হারিয়ে যাচ্ছি।

ব্রহ্মাণ্ডের কঠিন শক্তি দেখতে না চেয়ে চোখে হাত দিয়ে ফেলি।

বলি পৃথিবী কত অন্ধকার!

পৃথিবী একটা আদিম বট গাছ।

যে গাছের শিরা-উপশিরা শুধু দান করে যাচ্ছে।

না চাইতেই পেয়েছি জল, বায়ু, রোদ্দুর।

জানানো যাচ্ছে―

আমাদের পৃথিবীর জন্য ভাড়া করা হচ্ছে খয়েরি ঘাসের মাঠ, খোলা প্রান্তর।

কালো আকাশ। 

নদীর জন্য জল আর গাছেদের জন্য কার্বন ডাই অক্সাইড।

রোদ্দুর খুব তেজী;

তাকে রিমান্ডে রাখা হয়েছে, পৃথিবীর জ্বালামুখী পাহাড়ের ভিতরে।

কখনো সখনো ছাড়া হবে।

আগ্নেয়গিরি হয়ে বেরিয়ে আসবে,

ছিটিয়ে পড়বে লাভা/তরল ম্যাগমা।

শান্ত নদীর কোনো উৎস থাকবে না― অন্তহীন।

ব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেকটা কক্ষপথে হয়তো হাজার পৃথিবী আছে।

তাতে মানুষের ভিড়!

কোলাহল!

চিৎকার! উল্লাস!

তবে এই পৃথিবী ধ্বংসের বিপরীতমুখী।



৫)

কলোসিয়ামের ঘুনে ধরা থাম


বাসি সুষুম্না পচে যায় এক রোদেলা দিনে।

গলা শুকিয়ে যাবে,

বিরহী ঘুম ভাঙলে শরীরগুলো নতুন করে জন্ম নেয়।

ডানা কাঁটা ফড়িংটা উপহারে পাবে নোংরা বিছানা।

গাছদের তেঁতো জিভে ঠান্ডা বিষের স্বাদ লাগে,

এক জটিল বারোয়ারী হালকা বাতাস, কিনছে চুরি করা দেহ।

আমাদের যৌনতা গিলছে শহরের হাইটেনশনগুলো।

পরিচয় দিতে দিতে স্বর্গীয় ফাঁকা মস্তিষ্কে ট্রেন থামে,

ব্যর্থ স্মৃতির মরা চামড়া উঠে আসে জ্যান্ত দেবতা হয়ে

পৌষালী চিরহরিৎ পাখিদের কান্না নেমে আসে নদীতে।

পৃথিবীর পেট থেকে নষ্ট ভ্রূণ মুক্তি পাবে না কখনো;

অকেজো প্রকৃতির পাঁজরে চারা হয়ে থেকে যাবে।

এ শহরে ঝাপসা লোডশেডিংগুলো অসুখ হয়ে ঘিরে ধরছে;

ঘুন ধরা শতাব্দীগুলো জেগে ওঠে ক্ষুধার্ত আত্মার স্পর্শে।

খেতে দেয় হাজারটা প্রিয়জনের চিতার ছাই।

একটা মৃত সকাল বাঁচতে চায় নীল শিরায়।

সবকিছু শেষ হয়ে আসছে।

পৃথিবী হাত রাখো বুকে–

ঝাপসা সভ্যতায় পিথাগোরাসের পাঁচনতন্ত্রে খিদে ফিরে আসবে,

ধ্বংস আঙুলের ডগায় শব্দেরা থেকে যাবে।

বাদামি ডানা মেলে একটা বাজপাখি নেমে আসে হৃদপিন্ডে।

আজও শরীরগুলো মৃত প্রজাপতির জীবাশ্ম খুঁটে খায়।

মন্তব্য, এখানে...

দীপেন্দু

জন্ম- বিজয়নগর, বারাসাত, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতায়। পেশায় প্রকৌশলী।

আরোও লেখা পড়ুন

কবিতা

স্মৃতির বন্দুক ...: দীপেন্দু

দীপেন্দু আগস্ট, ২২, ২০২৫

১) এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে মানুষগুলো শুয়ে আছে অন্ধকারে–এবার রাস্তা ফাঁকা।চলো চলো একে একেধীরে ধীরেচুপচাপ।এভাবেই রোজ বিষাদ আসে ঘরে।ফিরে গেছে পাখিনিজের বাসা ছেড়ে।আজ অনেক কথা;ফুরোয় শ

কবিতা

কবিতাগুচ্ছ : আতঙ্কিত পুং কাঁপছে ...: বাহক দেব

বাহক দেব আগস্ট, ১৫, ২০২৫

কাপুরুষ অথবা কালপুরুষ ঘটনার নগরবৃত্তায়নে আমি কাপুরুষবাচিকতা আমাকে ছু্ঁয় নাবায়ু দূষন ~ নগর বিষন্নতায় কালপুরুষঅভ্যস্ত সীমারেখা ভেঙে যাচ্ছে অভ্যন্তরীন নলপথ বেয়েগ্লুকোজের দ্বিগুন মাত্র

কবিতা

কবিতাগুচ্ছ : তুমি আছো (নেই)! ...: তানজিন তামান্না

তানজিন তামান্না আগস্ট, ১৫, ২০২৫

সেক্সটয়রাত জাগা সবুজ বাতির প্রজ্জ্বলনে—তোমাকে সেক্সটয় মনে হয়!কথাবহুল প্রেমকে মনে হয়—দূর গ্রহ থেকে ভেসে আসা সংকেতএসব ছাপিয়ে, আমাদের ছিলো—শাপলার বিল ভরা হেমন্তের রোদ।থাকতে পারতো— তোমার

কবিতা

অরুণরাগের লগ্নে ...: হাসিন এহ্সাস লগ্ন

হাসিন এহ্সাস লগ্ন মে, ২৩, ২০২৪

জন্মদিনকিছু বিলো এভারেজ কবিতাএখন তোমার পড়তে হবে।অনুপ্রাসের মতো তোমার ভালো লাগে না কিছুই।পড়ো, প’ড়ে প’ড়ে চলে যাওঅনন্ত কুহু কুহু মহড়ার দিকে।আর যথারীতি উৎপিপাসু প্রাণের দিকেমেলে ধরো উৎপ্

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বাবুই পাখির রাফখাতা ...: বদরুজ্জামান আলমগীর

বদরুজ্জামান আলমগীর এপ্রিল, ১৪, ২০২২

বাবুই পাখির রাফখাতাপথ সবসময় মাটিতে শুয়ে থাকে নামাঝেমধ্যে পথ উঠে যায় আকাশের দিকেআকাশের দিকে উঠে গেলে পথকে আমরা আর পথ বলি না,নাম দিই গম্ভীর অয়োময় অট্টালিকা প্রাসাদনিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ওয়া

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : কোভিডের পর বৈশাখ ...: কাজল শাহনেওয়াজ

কাজল শাহনেওয়াজ এপ্রিল, ১৪, ২০২২

কোভিডের পর বৈশাখদীর্ঘ অবিস্মরণীয় সময় কাটিয়ে অপেক্ষা থেকে মুক্তি পেলাম।বিগত দুই বছর যথাসম্ভব নিবৃত করে রেখেছিলাম অনেক রকম বাসনা থেকে। সপ্তাহর পর সপ্তাহ একা একা দিনগুলি ঘুম পাড়িয়ে ছোট ছোট

logo

বিষয়সমূহ >
কবিতা গল্পসরগম উপন্যাস অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক গদ্যধারা সাক্ষাৎকার রিভিউ এক্সিবিশন নাটক চলচ্চিত্র ধারাবাহিক বিশেষ-সংখ্যা বই নাটক দল

সাম্প্রতিক পোস্ট >

স্মৃতির বন্দুক

স্মৃতির বন্দুক

দীপেন্দু

আগস্ট, ২২, ২০২৫

ফটোগ্রাফি

ফটোগ্রাফি

শাহরিয়ার সাজ্জাদ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

টুকরো কথার স্রোত

টুকরো কথার স্রোত

রাতুল হরিৎ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

সর্বাধিক পঠিত >

স্মৃতির বন্দুক

স্মৃতির বন্দুক

দীপেন্দু

আগস্ট, ২২, ২০২৫

ফটোগ্রাফি

ফটোগ্রাফি

শাহরিয়ার সাজ্জাদ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

টুকরো কথার স্রোত

টুকরো কথার স্রোত

রাতুল হরিৎ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

সর্বাধিক পঠিত >

স্মৃতির বন্দুক

স্মৃতির বন্দুক

দীপেন্দু

আগস্ট, ২২, ২০২৫

ফটোগ্রাফি

ফটোগ্রাফি

শাহরিয়ার সাজ্জাদ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

টুকরো কথার স্রোত

টুকরো কথার স্রোত

রাতুল হরিৎ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

সাম্প্রতিক পোস্ট >

স্মৃতির বন্দুক

স্মৃতির বন্দুক

দীপেন্দু

আগস্ট, ২২, ২০২৫

ফটোগ্রাফি

ফটোগ্রাফি

শাহরিয়ার সাজ্জাদ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

টুকরো কথার স্রোত

টুকরো কথার স্রোত

রাতুল হরিৎ

আগস্ট, ২২, ২০২৫

বিষয়সমূহ >

কবিতা গল্পসরগম উপন্যাস অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক গদ্যধারা সাক্ষাৎকার রিভিউ এক্সিবিশন নাটক চলচ্চিত্র ধারাবাহিক বিশেষ-সংখ্যা বই নাটক দল

logo

  • স্বত্ব© দেশলাই ২০২৩
  • কারিগরি সহযোগিতায় হুমায়ুন কবির
  • লেখা পাঠাতে
  • বিজ্ঞাপন
  • ডোনেশন
  • ইবুক
  • যোগাযোগ
  • স্বত্ব© দেশলাই ২০২৩
  • কারিগরি সহযোগিতায় হুমায়ুন কবির
  • লেখা পাঠাতে
  • বিজ্ঞাপন
  • ডোনেশন
  • ইবুক
  • যোগাযোগ